পোলাও ঝরঝরে করার গোপন টিপস

১. সঠিক চাল নির্বাচন: পোলাওয়ের জন্য বাসমতি বা চিনিগুঁড়া চাল সবচেয়ে ভালো। এই চালগুলো প্রাকৃতিকভাবেই কম আঠালো হয়। চাল কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যেন চালটা পুরনো হয়, নতুন চালে আঠালো ভাব বেশি থাকে।
২. চাল ধোয়া এবং শুকানো: চাল ধোয়ার সময় হালকা হাতে ধোবেন, বেশি ঘষাঘষি করবেন না। চাল ধোয়ার পর কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা চালুনি বা স্ট্রেনারে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। চাল ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে পোলাও ঝরঝরে হবে। ফ্যানের নিচে রেখেও শুকিয়ে নিতে পারেন। 
৩. তেল বা ঘি-এর সঠিক ব্যবহার: চাল ভাজার সময় তেল বা ঘি একটু বেশি ব্যবহার করুন। এতে চালগুলো আলাদা থাকবে এবং সিদ্ধ হওয়ার পর একটার সাথে আরেকটা লেগে যাবে না। 
৪. চাল ভাজা (ভুনানো): চাল হালকা সোনালি হওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে ভাজুন। চাল ভাজার সময় অনবরত নাড়তে থাকুন যাতে সব চাল সমানভাবে ভাজা হয় এবং নিচে লেগে না যায়। এই ধাপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে ভাজা চাল পোলাওকে ঝরঝরে করতে সাহায্য করে। গোল্ডেন ব্রাউন হওয়ার দরকার নেই, হালকা সোনালি হলেই হবে। 
৫. গরম পানি বা গরম দুধের ব্যবহার: পোলাও রান্নার জন্য সবসময় গরম পানি বা গরম দুধ ব্যবহার করুন। ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করলে চালের তাপমাত্রা কমে যায় এবং পোলাও আঠালো হতে পারে। চালের পরিমাণের দ্বিগুণ পানি বা দুধ ব্যবহার করুন (যেমন, ১ কাপ চালের জন্য ২ কাপ পানি)। 
৬. ঢাকনা দেওয়ার সঠিক সময় ও তাপ: চাল ভাজা হয়ে গেলে গরম পানি বা দুধ দিয়ে নেড়েচেড়ে দিন। যখন পানি ফুটে উঠবে এবং চালের সমান সমান হয়ে আসবে, তখন ঢাকনা দিয়ে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিন (দমে রাখা)। ১৫-২০ মিনিট দমে রাখুন। ঢাকনা দেওয়ার পর বারবার ঢাকনা খুলবেন না। এতে ভেতরের বাষ্প বেরিয়ে যায় এবং পোলাও ভালোভাবে সিদ্ধ হয় না। 
৭. লেবুর রস বা সিরকা (ঐচ্ছিক): পোলাও রান্নার সময় ১ চা চামচ লেবুর রস বা সিরকা যোগ করতে পারেন। এটি পোলাওকে আরও ঝরঝরে করতে সাহায্য করে এবং পোলাও সাদা থাকে। 
৮. পরিবেশনের আগে বিশ্রাম: পোলাও রান্না হয়ে গেলে সাথে সাথে পরিবেশন না করে, চুলা বন্ধ করে আরও ৫-১০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রাখুন। এতে পোলাওয়ের ভেতরের বাষ্প ঠিকমতো বসবে এবং পোলাও আরও ঝরঝরে হবে। 
এই টিপসগুলো ফলো করে দেখুন, আপনার পোলাও হবে একদম পারফেক্ট ঝরঝরে!

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form